সুন্দরবন একটি প্রাকৃতিক বিস্ময়ের নাম। সুন্দরবন বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন এবং বন্যপ্রাণীর আধার। এটি বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলির অন্যতম। এটি শুধুমাত্র এর অনন্য জীববৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত নয়, বরং এখানে বসবাসকারী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের জন্যও বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সুন্দরবনের নিসর্গ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পর্যটকদের মন কাড়ে। পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬৬%) রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি ৩,৪৮৩ বর্গ কিলোমিটার (৩৪%) রয়েছে ভারতের মধ্যে। এই ভ্রমণ গাইডে, আমরা সুন্দরবনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানব এবং কিভাবে এখানে একটি স্মরণীয় ভ্রমণ করা যায় তা আলোচনা করব।
নামকরণের ইতিহাস
‘সুন্দরবন’ নামটির উৎপত্তি নিয়ে কিছু ভিন্নমত আছে। অনেকেই মনে করেন, এই নামটি এসেছে ‘সুন্দরী’ গাছের নাম থেকে, যা এখানে প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, ‘সুন্দর’ এবং ‘বন’ শব্দ দুটি মিলিয়ে ‘সুন্দরবন’ নামকরণ করা হয়েছে। এ বনের নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যই নামটির যথার্থতা প্রমাণ করে।
বেড়ানোর উপযুক্ত সময়
সুন্দরবন ঘুরে দেখার সঠিক সময় শীতকাল আর নির্দিষ্ট করে বললে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী মাস । এ সময় বন ও প্রকৃতি শান্ত থাকে এবং বন্যপ্রাণী দেখার সুযোগও বেশি থাকে। কিন্তু দেখা যায় যে একই সময় সকল পর্যটকেরা ভ্রমণে গেলে বড় বড় জাহাজ ও ইঞ্জিন চালিত নৌকার শব্দের জন্যে প্রাণী গুলো বনের ভিতরের দিকে চলে যায়। যার জন্য বানর ছাড়া কোনো প্রাণী দেখা যায় না। তাই শীতের শুরুতে অথবা শেষের দিকে গেলে সব থেকে ভালো হয়। আর করমজল ও হারবাড়িয়া বছরের যে কোনো দিন যাওয়া যায়।
আশেপাশের দর্শনীয় স্থান
সুন্দরবন ভ্রমণের সময় আশেপাশের কিছু দর্শনীয় স্থানও দেখা যেতে পারে।
- কটকা এবং কচিখালী: সুন্দরবনের এই দুই স্থান বন্যপ্রাণী পর্যবেক্ষণের জন্য আদর্শ।
- হিরণ পয়েন্ট: বাঘ, হরিণ এবং নানা প্রজাতির পাখি দেখার সুযোগ পাওয়া যায়।
- দুবলার চর: এখানে প্রতিবছর রাস উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, যা সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ।
- শেখেরটেক: প্রাচীন গাছপালা এবং মনোরম দৃশ্যাবলীর জন্য এটি বিখ্যাত।
- শুধন্যখালী: এখান থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, হরিণ, বানর, এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি দেখা যায়।
- করমজল,হাড়বাড়িয়া: এই দুটো জায়গা মোংলা থেকে সবচেয়ে কাছে। এখানে হরিণ, বিভিন্ন প্রজাতির কুমিরের প্রজনন কেন্দ্র এবং পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
- জামতলা,জামতলাবীচ: এখানে আকর্ষণীয় জায়গা হলো ওয়াচ টাওয়ার। এই টাওয়ার থেকেই বিস্তীর্ণ ছনক্ষেতে হাজার হাজার হরিণের ছোটাছুটি, এমনকি বাঘের দেখাও মিলতে পারে। জামতলা ঘাট থেকে পায়ে হাঁটা পথে প্রায় ৩ কিলোমিটার গেলে জামতলা সী বীচের অপরুপ দুশ্য উপভোগ করতে পারবেন।
- মান্দারবাড়িয়া সৈকত: সুন্দরবনের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত সমুদ্র সৈকত। মান্দারবাড়িয়র কিছু অংশ এখনো আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। অর্থাৎ এই অঞ্চলের কিছু অংশে মানুষ এখনো প্রবেশ করতে পারেনি। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়।
ভ্রমণের উপায়
বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে আপনাকে প্রথমে খুলনা অথবা মোংলা যেতে হবে। খুলনা, বাগেরহাটের মোংলা অথবা সাতক্ষীরার শ্যামনগর হয়ে লঞ্চে করে সুন্দরবনে যাওয়া যায়। একা বা দুই একজন মিলে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে পারবেন না। ফরেস্ট অফিস থেকে নির্ধারিত ফি দিয়ে অনুমতি ও সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে সুন্দরবনের ভিতরে ঘুরতে যেতে হবে। এছাড়াও লঞ্চ ও শীপ ছাড়া সব গুলো স্থান ঘুরে দেখা সম্ভব না। তাই দশ বার জন বা বিশ পঁচিশ জন অথবা আপনাদের পছন্দমতো গ্রুপ করে নিয়োম মাফিক সকল প্রসেসিং ওকে করে ঘুরতে যেতে পারেন। তবে ভ্রমণে সহজ ও সাশ্রয়ী উপায় হচ্ছে কোন ট্যুর অপারেটরের মাধ্যমে যাওয়া। তাহলে আপনি নিরাপত্তা রক্ষী, বন বিভাগের অনুমতি, খরচ ও ভ্রমণ গাইড লাইন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অনেকটাই চিন্তামুক্ত থাকতে পারবেন। প্যাকেজের মধ্যেই শীপে উঠা থেকে ভ্রমণ শেষ করে ঘাটে ফেরা পর্যন্ত থাকা, খাওয়া (হালকা নাস্তাসহ), বন বিভাগের অনুমতি, নিরাপত্তা রক্ষী ও গাইডসহ সকল যাবতীয় খরচ অন্তর্ভূক্ত থাকে।
ভ্রমণ খরচ
সুন্দরবন ভ্রমণে খরচ নির্ভর করবে আপনার চাহিদার উপর। যেমন ভালো মানের খাবার, কোন কোন স্পটে ভ্রমণ করবেন এবং কত দিন ভ্রমণ করবেন। তবে ভালো মানের শীপে ২রাত ৩দিন বা ৩ রাত ৪দিনে খরচ পরবে প্রতি জনে ৭ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা। আর বিলাসবহুল ভ্রমণ করতে ২রাত ৩দিন বা ৩ রাত ৪দিনে খরচ পরবে প্রতি জনে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। এছাড়াও দেশি পর্যটক, শিক্ষার্থী ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ফি নির্ধারণ করা আছে। বিঃদ্রঃ সময়ের সাথে খরচের পরিমান কমতে বা বারতে পারে।
হোটেল ও মোটেল
শীপে বা লঞ্চে ভ্রমণ করলে কোন হোটেলের প্রয়োজন নেই। তবে ব্যক্তিগত ভাবে গেলে আপনাকে হোটেলে থাকতে হবে।
- হোটেল রয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল: আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ একটি মানসম্মত হোটেল।
- হোটেল সিটি ইনের: অর্থনৈতিক ভ্রমণকারীদের জন্য উপযুক্ত।
- রূপসা রিসোর্ট: প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকার জন্য আদর্শ।
- সুন্দরবন রিসোর্ট: সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ, আধুনিক সুবিধা এবং আরামদায়ক পরিবেশ প্রদান করে।
- রিভার ভিউ লজ: সুন্দরবনের নদীর কাছাকাছি অবস্থিত, এই লজটি নদীর অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করার সুযোগ দেয়।
- বনবাড়ি হোটেল: হোটেলটি সুন্দরবনের গভীরে অবস্থিত এবং ঐতিহ্যবাহী বাংলার গৃহিণী পরিবেশের অনুভূতি প্রদান করে। এখানে একটি সুকোমল পরিবেশ এবং সুস্বাদু স্থানীয় খাবার পাওয়া যায়।
- সুন্দরবন গেস্ট হাউস: এটি সস্তা এবং আরামদায়ক। গেস্ট হাউসটি সুন্দরবনের কাছাকাছি অবস্থিত এবং এখানকার সেবার মান ভাল।
- বাঘা লজ: বাঘা লজটি সুন্দরবনের গহীনে অবস্থিত। একটি রিসর্টের মতো সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে। বনভ্রমণের জন্য বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজও পাওয়া যায়।
- বন ভিলেজ রিসোর্ট: প্রকৃতির মাঝে একটি ছোট্ট গ্রাম। রিসোর্টটি সুলভ মূল্যে ভাল পরিষেবা দেয়।
- বনপাখি: এই রিট্রিটটি একটি সুন্দর পরিবেশে অবস্থিত এবং বিশেষ করে পাখি পর্যবেক্ষণকারীদের জন্য আদর্শ।
খরচের তালিকা প্রতিদিন পরিবর্তিত হতে পারে, তাই ভ্রমণের আগে হোটেলের সাথে যোগাযোগ করে বর্তমান রুমের ভাড়া যাচাই করে নেওয়া উচিত।
- অনলাইন বুকিং প্ল্যাটফর্ম: bdtickets.com।
জরুরী টিপস
সুন্দরবন ভ্রমণের আগে কিছু জরুরী বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন:
- এজেন্সি সম্পর্কে ভালো ভাবে জেনে শীপ/প্যাকেজ বুকিং দিবেন।
- প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র সঙ্গে নিয়ে শীপে বা লঞ্চে উঠবেন।
- নিরাপদ খাবার পানি সাথে রাখা এবং খাবার পানি অন্য কোন কাজে ব্যবহার না করা(নদীর পানি নোনা) ।
- প্রাথমিক চিকিৎসার জিনিসপত্র ও প্রয়োজনীয় ঔষুধ অবশ্যই সাথে রাখবেন।
- ট্যুর গাইডের কথার বাইরে যাবেন না।
- দলবদ্ধ ভাবে বনের ভিতরে প্রবেশ করবেন।
- প্রয়োজনীয় পোশাক সাথে রাখুন। তবে উজ্জল রঙ্গের কাপড় (দুর থেকে চোখে পড়ে এমন) না পড়াই ভালো।
- খরচ কমাতে চাইলে ছুটির দিনে ভ্রমণ করবেন না।
- টুর গাইড এর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ ব্যক্তি বেছে নিবেন।
- জাতীয় পরিচায় পত্র সাথে রাখুন।
- আর্থিক সমস্যা না থাকলে লাক্সারী শীপে ভ্রমণ করুন।
- জঙ্গলে নেমে উচ্চ স্বরে কথা বলবেন না।
- লোকাল এবং আপনার ভ্রমণ সঙ্গীদের সাথে সসম্মানের সহিত আচরন করবেন।
- সুগন্ধি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন।
- লাগেজ যথা সম্ভব ছোট করা চেষ্টা করবেন।
- হালকা বা পিছনে বেল আছে এমন জুতা ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
- গাছের ডাল, লতা-পাতায় হাত বা না ছেড়াই আপনার জন্য ভালো হবে।
- সুন্দরবনের রুপবৈচিত্রে ক্ষতি হবে এমন কাজ হতে আপনি নিজেকে বিরত রাখুন।
শেষকথা
সুন্দরবন ভ্রমণ শুধু একটি সাধারণ ভ্রমণ নয়, এটি একটি অভিজ্ঞতা, যা আপনার জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বন্যপ্রাণী এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের সমন্বয় আপনাকে এক অনন্য অভিজ্ঞতার সম্মুখীন করবে। এই ভ্রমণের মাধ্যমে আপনি প্রকৃতির কাছাকাছি আসতে পারবেন এবং নতুন কিছু শিখতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে, আপনার সুন্দরবন ভ্রমণের পরিকল্পনা শুরু করুন এবং নিজেকে এই অপরূপ বনভূমির সৌন্দর্যে মুগ্ধ হতে দিন।
করনীয়:
সময়ের সাথে সাথে তথ্য ও ভাড়ার আংশিক পরিবর্তন হতে পারে তাই যখন ভ্রমণে যাবেন, সেই সময়ের বর্তমান তথ্য ও ভাড়া যাচাই করে ভ্রমণ করুন। অবশেষে, আপনার ভ্রমণকে আরও অর্থবহ করার জন্য সঠিক প্রস্তুতি নিন এবং সুন্দরবনের প্রকৃতি ও সৌন্দর্য উপভোগ করুন। আপডেট তথ্য পেতে আমার ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে ভুলবেন না।
মনোযোগ আকর্ষণ
দেশের জাতীয় সম্পদ রক্ষা করা আমাদের সবার সম্মিলিত দায়িত্ব। এই সম্পদ শুধু আমাদের বর্তমান প্রজন্মের জন্য নয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে। তাই, আমরা এই সম্পদের সঠিক ও যথাযথ ব্যবহারে সচেতন থাকবো। সকলে মিলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করলে, আমরা আমাদের জাতীয় সম্পদ সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম হবো। এবং একটি উন্নত ও সুষম ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। ধন্যবাদ।
আমার দেওয়া তথ্য যদি কোথাও ভুল থাকে বা যদি আপনার কোনো পরামর্শ থাকে, দয়া করে কমেন্ট করে জানান।
সেন্টমার্টিন ভ্রমণ: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য স্বাদ
কক্সবাজার ভ্রমণ: একটি সম্পূর্ণ গাইড
সিলেট ভ্রমণ: একটি সম্পূর্ণ তথ্যপূর্ণ গাইড
21 Comments
Pingback: সেন্টমার্টিন ভ্রমণ: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনন্য স্বাদ
Pingback: বান্দরবান ভ্রমণ: একটি সম্পূর্ণ গাইড
এমন সুন্দর এবং বিস্তারিত গাইড দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছে আমি নিজেই সেই জায়গায় চলে গেছি! আগামী ভ্রমণের পরিকল্পনা করার সময় এটি খুবই সহায়ক হবে।”
খুব ভালো একটি ব্লগ পোস্ট! ভ্রমণের আগে প্রয়োজনীয় তথ্য ও টিপস জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনার শেয়ার করা অভিজ্ঞতা ও পরামর্শগুলি আমাদের ভবিষ্যত ভ্রমণকে সহজ করবে। ধন্যবাদ!
“ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এটি একটি আদর্শ পোস্ট! ধন্যবাদ, লেখক।”
সুন্দরবন ভ্রমণ শুধু একটি সাধারণ ভ্রমণ নয়, এটি একটি অভিজ্ঞতা।ব্লগটিতে অত্যন্ত্ চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
“বেশ ভালো পরামর্শ দিয়েছেন। আমি পরবর্তী ভ্রমণের জন্য অবশ্যই এটি বিবেচনা করব।”
এই সাইটে সব সময় নতুন কিছু পড়ার জন্য অপেক্ষা করি। ভ্রমণের জন্য এটি একটি সম্পদ।”
“এই সাইটটি ভ্রমণকারীদের জন্য সত্যিই উপকারী। প্রতিটি পোস্টই ভ্রমণের জন্য নতুন দিক নির্দেশনা দেয়।”
“এই পোস্টটি আমার ভ্রমণ পরিকল্পনায় অনেক সহায়ক হয়েছে। এত সুন্দরভাবে তথ্য দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ!”
ভ্রমণ পরিকল্পনা করার সময় আমি সব সময় আপনার সাইটে আসি, কারণ এখানে প্রাপ্ত তথ্যগুলো সব সময়ই নির্ভরযোগ্য এবং সহায়ক। প্রতিটি পোস্টে আপনি যেভাবে তথ্য উপস্থাপন করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ধন্যবাদ, এত সুন্দর একটি ভ্রমণ গাইড তৈরির জন্য।”
“এই সাইটটি ভ্রমণকারীদের জন্য একটি অসাধারণ রিসোর্স। প্রতিটি পোস্টে এমন তথ্য শেয়ার করা হয়েছে যা অন্য কোথাও পাওয়া কঠিন। আপনার লেখাগুলো সব সময়ই আকর্ষণীয় এবং পড়ার সময় মনে হয় আমি নিজেই সেই জায়গায় আছি। ধন্যবাদ এত সুন্দরভাবে সব কিছু বর্ণনা করার জন্য।”
ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য আপনার সাইটটি একটি অসাধারণ সম্পদ। এখানে আমি এমন কিছু টিপস পেয়েছি যা অন্য কোথাও পাইনি। প্রতিটি পোস্টেই আপনি যেভাবে বিশদভাবে তথ্য প্রদান করেছেন, তা ভ্রমণের প্রস্তুতিতে অত্যন্ত সহায়ক। আপনার সাইটটি আমার ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে তুলেছে।”**
“ভ্রমণপ্রেমীদের জন্য এটি একটি আদর্শ গাইড। আপনার ব্লগটি সবসময়ই পড়তে ভালো লাগে।”
সুন্দরবন ভ্রমণ নিয়ে আপনার লেখা অসাধারণ! প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং বন্যপ্রাণীর দুনিয়া অনন্য অভিজ্ঞতা দেয়। ম্যানগ্রোভ বন ও বাঘ দেখা একটি অবিস্মরণীয় অ্যাডভেঞ্চার। এ ধরনের ভ্রমণ কেবল কৌতূহল নয়, প্রকৃতির সাথে সংযুক্তির একটি মহা সুযোগ।
এই সাইটটি আমার প্রিয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। প্রতিটি পোস্টই এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে পড়ার সময় মনেই হয় না সময় কেটে যাচ্ছে।
Pingback: বাগেরহাট ষাটগম্বুজ মসজিদ: বাংলাদেশের ঐতিহাসিক রত্ন
“ভ্রমণের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় আমি সব সময় আপনার সাইট থেকে সাহায্য নিই। এখানে প্রতিটি পোস্টে এমন কিছু টিপস আছে যা ভ্রমণকারীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার লেখা থেকে ভ্রমণ স্থানের ইতিহাস ও স্থানীয় জীবনের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে পারা যায়। ধন্যবাদ, ভ্রমণকে আরও আকর্ষণীয় এবং সহজ করে তোলার জন্য।”
“বাংলাদেশের পর্যটন স্থানগুলো সম্পর্কে এত সুন্দরভাবে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে, খুবই প্রশংসনীয়।”
“Wow, this was incredibly helpful! The way you explained it makes me feel confident I can tackle this myself. Keep up the amazing work!”
ভ্রমণের জন্য একটি দুর্দান্ত সম্পদ। ওয়েবসাইটটি ব্যবহার করা সহজ এবং তথ্যগুলি সঠিক। আমি এই ওয়েবসাইটটি আমার বন্ধুদের সাথেও শেয়ার করব। ধন্যবাদ!